উঠে বসলেন মৃত ব্যক্তি!
শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে কফিন থেকে উঠে বসলেন ১০১ বছর বয়সী মৃত ব্যক্তি! তারপর সৎকারে অংশগ্রহণ করা মানুষের কাছে জানতে চান, তার বাড়িতে এতো মানুষ কেন? সম্প্রতি এ বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে চীনের গুয়াংডং প্রদেশের লিয়ানজিয়াং নামক এলাকায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বাড়িতে একা বসবাস করতেন পেং নামের ঐ বৃদ্ধা। কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হলে তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন তারই দুই মেয়ে। ১০ দিন পর পেং এর হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ মনে করে মেয়েরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যখন তাকে শেষ বিদায়ের পোষাক পরিয়ে কফিনে রাখা হয় তখনই জেগে ওঠেন পেং।
এ প্রসঙ্গে পেং বলেন, “আমি ভাগ্যবান নারী। কারণ আমি স্বচক্ষে দেখতে পেরেছি, কতো মানুষ আমাকে ভালোবাসে।” তিনি বলেন, “সমাহিত হওয়ার আগেই আমি জেগে উঠতে পেরেছি এ কারণে আমি নিজেকে আরও বেশি ভাগ্যবান মনে করছি।”
মমিতে হৃদরোগ!
প্রাচীন মমিকৃত দেহাবশেষের হৃদযন্ত্র ও ধমনী স্ক্যান করে চর্বি খুঁজে পাওয়া গেছে! ৪ হাজার বছরের পুরনো ১৩৭টি মমির ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, মমিকৃত এই মানুষদের বেশিরভাগই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক করে মারা গেছেন! এর কারণ হিসেবে উচ্ছ্বাভিলাসি জীবনধারা, যেমন ধূমপান ও অতিভোজনের মাধ্যমে স্থুলকায় হয়ে পড়াকে দেখছেন গবেষকরা।
বেশ কিছু মমির ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, মমিকৃত মানুষরা সমাজের সবচেয়ে উঁচু শ্রেণীর ছিলেন। চর্বিতে পরিপূর্ণ বিলাসবহুল খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত ছিলেন তারা। গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকরা আরও জানান, আদিম মানুষের রোগের ধরন চিহ্নিত করার জন্য মিশর, পেরু, দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকা ও আলাস্কার অ্যালুশিয়ান দ্বীপ এলাকার মমিগুলোর সিটি স্ক্যান করে এই বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণায় ৪৭-৩৪ শতাংশ মমিতেই অথেরোসক্লারোসিসের (ধমনীর পেশি পুরু হয়ে যাওয়া) চিহ্ন পাওয়া যায়, যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও ভাস্কুলার ডিজিজের (ধমনীর স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া) কারণ। গবেষকরা আরও জানান, বিশ্বব্যাপি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সভ্যতায় বসবাস করা মানুষের রোগ পর্যবেক্ষণ করে প্রাপ্ত এই গবেষণার ফলাফল সত্যিই বিস্ময়ের।
গবেষণার দলের প্রধান সেন্ট লুক মিড আমেরিকা হার্ট ইনসটিটিউটের অধ্যাপক রেনডল থমপসন বলেন, “বিভিন্ন সভ্যতার মমির ওপর গবেষণা করে আমরা অথেরোসক্লারোসিসের একই মাত্রা দেখতে পাই, জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন থাকলেও প্রাচীন জীবনে অথেরোসক্লারোসিস ছিল প্রায় সবার শরীরেই।”
গবেষণা দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “ভালো স্বাস্থ্য সচেতন খাবার খেয়ে, ধূমপান বন্ধ করে এবং সবসময় কাজের ওপর থেকে হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখা যায়।”
প্রাচীন মমিকৃত দেহাবশেষের হৃদযন্ত্র ও ধমনী স্ক্যান করে চর্বি খুঁজে পাওয়া গেছে! ৪ হাজার বছরের পুরনো ১৩৭টি মমির ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, মমিকৃত এই মানুষদের বেশিরভাগই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক করে মারা গেছেন! এর কারণ হিসেবে উচ্ছ্বাভিলাসি জীবনধারা, যেমন ধূমপান ও অতিভোজনের মাধ্যমে স্থুলকায় হয়ে পড়াকে দেখছেন গবেষকরা।
বেশ কিছু মমির ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, মমিকৃত মানুষরা সমাজের সবচেয়ে উঁচু শ্রেণীর ছিলেন। চর্বিতে পরিপূর্ণ বিলাসবহুল খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত ছিলেন তারা। গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকরা আরও জানান, আদিম মানুষের রোগের ধরন চিহ্নিত করার জন্য মিশর, পেরু, দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকা ও আলাস্কার অ্যালুশিয়ান দ্বীপ এলাকার মমিগুলোর সিটি স্ক্যান করে এই বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণায় ৪৭-৩৪ শতাংশ মমিতেই অথেরোসক্লারোসিসের (ধমনীর পেশি পুরু হয়ে যাওয়া) চিহ্ন পাওয়া যায়, যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও ভাস্কুলার ডিজিজের (ধমনীর স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া) কারণ। গবেষকরা আরও জানান, বিশ্বব্যাপি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সভ্যতায় বসবাস করা মানুষের রোগ পর্যবেক্ষণ করে প্রাপ্ত এই গবেষণার ফলাফল সত্যিই বিস্ময়ের।
গবেষণার দলের প্রধান সেন্ট লুক মিড আমেরিকা হার্ট ইনসটিটিউটের অধ্যাপক রেনডল থমপসন বলেন, “বিভিন্ন সভ্যতার মমির ওপর গবেষণা করে আমরা অথেরোসক্লারোসিসের একই মাত্রা দেখতে পাই, জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন থাকলেও প্রাচীন জীবনে অথেরোসক্লারোসিস ছিল প্রায় সবার শরীরেই।”
গবেষণা দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “ভালো স্বাস্থ্য সচেতন খাবার খেয়ে, ধূমপান বন্ধ করে এবং সবসময় কাজের ওপর থেকে হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখা যায়।”
১২ বছরেই শেষ আধুনিক শৈশব!
৫০ বছর আগেও যেখানে ১৮-২০ বছর বয়সী তরুণরা শিশুর মতো আচরণ করতেন, মাঠ দাপিয়ে বেড়াতে শৈশবের দুরন্তপনায়- সেখানে মাত্র ১২ বছরেই শেষ হয়ে যাচ্ছে আধুনিক কালের শৈশব, ১২ বছরের শিশুরাই আচরণ করছেন বড়দের মতো!
উদ্বেগজনক এমন তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটে।
মা-বাবাদের ব্যবহার করা ‘নেটমামস’ নামের ঐ ওয়েবসাইটের অনেক সদস্য অভিযোগ করেছেন, “বয়স হওয়ার আগেই আচরণে বড় হয়ে উঠছে শিশুরা।”
তারা অভিযোগ করেন, “মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি তাদের নিজের আচরণ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে, আর ছেলেরা বয়স হওয়ার আগেই খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের ‘পৌরুষত্ব’ প্রদর্শন করছে।”
এ ব্যাপারে বুধবার ‘নেটমামস’ এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে প্রায় সহস্রাধিক মন্তব্য করেন ব্যবহারকারীরা। এদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশেরই অভিযোগ, “গণমাধ্যমের ঢালাও উপস্থাপন শিশুদের সুন্দর সময়গুলিকে দ্রুত চুরি করছে। গণমাধ্যমে শিশুদের চরিত্রকে বেশি দায়িত্বশীল করে তোলার কারণেই এমনটি ঘটছে।”
এদের অনেকের আবার অভিযোগ, কার্যত ১০ বছরের আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে আধুনিককালের শৈশব!
ওয়েবসাইটটির ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, “আমরা মা-বাবারা ওদের ছোট হিসেবে দেখলেও গণমাধ্যমের প্রভাবে শিশুরা নিজেদের শিশু হিসেবে দেখতে চাইছে না।”
নেটমামস’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফ্রিগার্ড বলেন, “শিশুদের মানসিকতার ওপর বাড়তি চাপ ঠেকাতে এখনই আমাদের চিন্তা করে পদক্ষেপ নিতে হবে। শিশুদের সময়গুলিকে বাঁচানো দরকার- যেন তারা আবেগ আর বাস্তবতা বুঝে পৃথিবীর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। খুব দ্রুত এতো চাপ পড়ে গেলে শিশুদের মানসিকতার সুষ্ঠু বিকাশ হবে না।”
তবে ওয়েবসাইটটির অনেক ব্যবহারকারী পরামর্শ দিয়ে জানান, ভবিষ্যতের জন্য শিশুকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে গড়ে তুলতে পারিবারিক বোঝাপড়াও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
ফেসবুকের ‘লাইক’ জানান দেয় ব্যক্তিত্বের
একজনের বুদ্ধিমত্তা, রাজনৈতিক চিন্তাধারা বা ব্যক্তিগত অভিরুচির বিষয়টি আপনি সহজে জানতে পারবেন ওই ব্যক্তির ফেসবুকে কি ধরনের বিষয়গুলোতে লাইক দেয়। একটি গবেষণায় এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ৫৮ হাজার ব্যক্তির ওপর ওই গবেষণাটি চালায় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ও ফেসবুক লাইকের সমন্বয় করে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুধাবনের জন্য একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফেসবুক লাইকগুলোকে গাণিতিক পদ্ধতিতে নেওয়া হয় ও এর সঙ্গে ব্যক্তিত্ব পরীক্ষার তথ্যগুলোকে মিলিয়ে দেখা হয়। গবেষকরা ব্যক্তির ধর্ম, রাষ্ট্রনীতি, জাতি ও লিঙ্গ নিরূপণে জন্য গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
গাণিতিক এই প্রক্রিয়ায়, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যথার্থভাবে ৮৫ শতাংশকে পুরুষ হিসেবে সনাক্ত করা গেছে। আফ্রিকান-আমেরিকানদেরকে ককেশিয়ান-আমেরিকানদের থেকে আলাদা করার ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ সঠিক হয়েছে। রাজনীতির ক্ষেত্রে ডেমোক্রেটদের থেকে রিপাবলিকানদের আলাদা করার ক্ষেত্রে ৮৫ সঠিক ছিল। বিভিন্ন ঘটনা ও সম্পর্কগত স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে মুসলমান ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের পার্থক্য ৮২ শতাংশ সঠিকভাবে নিরূপণ করা গেছে।
এছাড়াও ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরির সময় মিউজিক ও টিভি শোগুলোতে বিপুল পরিমাণ লাইক পড়ে বলে বেরিয়ে এসেছে গবেষণায়।
একজনের বুদ্ধিমত্তা, রাজনৈতিক চিন্তাধারা বা ব্যক্তিগত অভিরুচির বিষয়টি আপনি সহজে জানতে পারবেন ওই ব্যক্তির ফেসবুকে কি ধরনের বিষয়গুলোতে লাইক দেয়। একটি গবেষণায় এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ৫৮ হাজার ব্যক্তির ওপর ওই গবেষণাটি চালায় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ও ফেসবুক লাইকের সমন্বয় করে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুধাবনের জন্য একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফেসবুক লাইকগুলোকে গাণিতিক পদ্ধতিতে নেওয়া হয় ও এর সঙ্গে ব্যক্তিত্ব পরীক্ষার তথ্যগুলোকে মিলিয়ে দেখা হয়। গবেষকরা ব্যক্তির ধর্ম, রাষ্ট্রনীতি, জাতি ও লিঙ্গ নিরূপণে জন্য গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
গাণিতিক এই প্রক্রিয়ায়, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যথার্থভাবে ৮৫ শতাংশকে পুরুষ হিসেবে সনাক্ত করা গেছে। আফ্রিকান-আমেরিকানদেরকে ককেশিয়ান-আমেরিকানদের থেকে আলাদা করার ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ সঠিক হয়েছে। রাজনীতির ক্ষেত্রে ডেমোক্রেটদের থেকে রিপাবলিকানদের আলাদা করার ক্ষেত্রে ৮৫ সঠিক ছিল। বিভিন্ন ঘটনা ও সম্পর্কগত স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে মুসলমান ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের পার্থক্য ৮২ শতাংশ সঠিকভাবে নিরূপণ করা গেছে।
এছাড়াও ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরির সময় মিউজিক ও টিভি শোগুলোতে বিপুল পরিমাণ লাইক পড়ে বলে বেরিয়ে এসেছে গবেষণায়।
জীবন্ত মানুষের কবরে বসবাস!
কবর মৃত মানুষের জন্য। যদি বলা হয় যে কবরে জলজ্যান্ত মানুষও বসবাস করে তাহলে কেমন বিস্ময়কর হবে ব্যাপারটা! হ্যাঁ, সার্বিয়ার ব্রাটিসলেভ স্টোজানোভিক নামের এক ব্যক্তি বসবাসের জন্য কবরকেই বেছে নিয়েছেন!
চারদিকে গাঢ় অন্ধকারে একলা মানুষ শুধু একটা মোমবাতি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে শত শত কবরের মাঝে ঘুমিয়ে পড়েন! এটাই তার থাকার জায়গা!
স্টোজানোভিক পেশায় একজন নির্মাণ কর্মী ছিলেন। আগে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে থাকলেও গত পনেরো বছর ধরে শহরের একটি গণকবরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।
এমন বিস্ময়কর জীবন যাপন সম্পর্কে স্টোজানোভিক বলেন, আমার কাছে এটা খুবই স্বাভাবিক। আমার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ডাস্টবিন এবং রাস্তা থেকে সংগ্রহ করতে হয়। অনেক কিছুই নেই তবে যা আছে তা যথেষ্টই মূল্যবান।
তিনি বলেন, “পরিত্যক্ত বাড়িতে আলোর ব্যবস্থা করতে মোমবাতি কুড়োনোর সময় একটি কবর দেখে হঠাৎ করেই মাথায় কবরে বাস করার চিন্তা খেলে যায়।” প্রথমে খোলা জায়গাতেই ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু পরে শীতের প্রকোপের কারণে কবরের ভেতরে ঢুকে পড়েন বলে লোমহর্ষক বর্ণনা দেন স্টোজানোভিক। কবরগুলোকে দেখতে তেমন কেউ আসে না উল্লেখ করে তিনি জানান, “ছয় বছর আগে মাকে দেখেছি। বাবা মারা যাওয়ায় ছেলেবেলায় মা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়ে ফের বিয়ে করেন।”
আবর্জনায় পরিপূর্ণ দুই গজেরও কম একটি সিমেন্টের কবর ও একটি পুরনো মাদুরের তৈরি বিছানাই এখন স্টোজানোভিকের সম্বল। স্টোজানোভিক গর্ববোধ করে বলেন, “আমি ভিক্ষুক নই। প্রয়োজনীয় সবকিছুই রাস্তায় কুড়িয়ে পাই।”
তবে তিনি স্বীকার করেন, “যখন নতুন জামা গায়ে দিই তখন অনেক প্রশান্তি লাগে।”
গীর্জা স্টোজানোভিকের সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। তবে কখনো গীর্জার ভেতরে ঢোকেন না তিনি।
চারদিকে গাঢ় অন্ধকারে একলা মানুষ শুধু একটা মোমবাতি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে শত শত কবরের মাঝে ঘুমিয়ে পড়েন! এটাই তার থাকার জায়গা!
স্টোজানোভিক পেশায় একজন নির্মাণ কর্মী ছিলেন। আগে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে থাকলেও গত পনেরো বছর ধরে শহরের একটি গণকবরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।
এমন বিস্ময়কর জীবন যাপন সম্পর্কে স্টোজানোভিক বলেন, আমার কাছে এটা খুবই স্বাভাবিক। আমার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ডাস্টবিন এবং রাস্তা থেকে সংগ্রহ করতে হয়। অনেক কিছুই নেই তবে যা আছে তা যথেষ্টই মূল্যবান।
তিনি বলেন, “পরিত্যক্ত বাড়িতে আলোর ব্যবস্থা করতে মোমবাতি কুড়োনোর সময় একটি কবর দেখে হঠাৎ করেই মাথায় কবরে বাস করার চিন্তা খেলে যায়।” প্রথমে খোলা জায়গাতেই ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু পরে শীতের প্রকোপের কারণে কবরের ভেতরে ঢুকে পড়েন বলে লোমহর্ষক বর্ণনা দেন স্টোজানোভিক। কবরগুলোকে দেখতে তেমন কেউ আসে না উল্লেখ করে তিনি জানান, “ছয় বছর আগে মাকে দেখেছি। বাবা মারা যাওয়ায় ছেলেবেলায় মা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়ে ফের বিয়ে করেন।”
আবর্জনায় পরিপূর্ণ দুই গজেরও কম একটি সিমেন্টের কবর ও একটি পুরনো মাদুরের তৈরি বিছানাই এখন স্টোজানোভিকের সম্বল। স্টোজানোভিক গর্ববোধ করে বলেন, “আমি ভিক্ষুক নই। প্রয়োজনীয় সবকিছুই রাস্তায় কুড়িয়ে পাই।”
তবে তিনি স্বীকার করেন, “যখন নতুন জামা গায়ে দিই তখন অনেক প্রশান্তি লাগে।”
গীর্জা স্টোজানোভিকের সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। তবে কখনো গীর্জার ভেতরে ঢোকেন না তিনি।
দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে বৌদ্ধ মঠ বিক্রি!
পাশে একটি গৃহপালিত পশুর খাদ্য তৈরির কারখানা। সেই কারখানা থেকে ভেসে আসা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পাশ্ববর্তী একটি মঠের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। উৎকট গণ্ধ সইতে পারে মঠটি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঠ থেকে মাত্র ৩২৮ গজ দূরে কারখানাটি অবস্থিত।
থাইল্যান্ডের নাখোন পাথোমের ওয়াট অর নইয়ের মঠাধ্যক্ষ লুয়াং পু বুদ্ধা ইসরা বলেন, “তিনি মঠটি বিক্রি করে দিতে ইচ্ছুক।”
১৯৯০ সালে স্থাপিত মঠটি বিক্রি থেকে প্রাপ্ত ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার একটি ফাউন্ডেশন দান করবেন তিনি। ইসরারা জানান, মঠ বিক্রি করে দিয়ে বনে গিয়ে ধর্মের চর্চা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
মঠাধ্যক্ষ বলেন, “এখান থেকে কিছু দূরে গৃহপালিত পশুর খাদ্য তৈরির কারখানাটি। সেখান থেকে আসা গন্ধ খুবই উৎকট। এখানের সন্যাসী ও শিক্ষানবিশদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে।”
মঠ এলাকায় সাইনপোস্টে লেখা হয়েছে, “পানির মূল্যে মঠ বিক্রি হবে। গৃহপালিত পশুর খাদ্য তৈরির কারখানা থেকে আসা গন্ধ অসহনীয়।”
কারখানার ব্যবস্থাপক সুপজ উরজিতসুরাকুল বলেন, “দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করতে তৃতীয় বারের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ওয়াট অর নইয়ের ভিক্ষুরা কারখানা পরিদর্শন করেছে। আমরা তাদের দেখিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমি মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি তার ভিক্ষুদের অন্যত্র পাঠাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।”
থাইল্যান্ডের নাখোন পাথোমের ওয়াট অর নইয়ের মঠাধ্যক্ষ লুয়াং পু বুদ্ধা ইসরা বলেন, “তিনি মঠটি বিক্রি করে দিতে ইচ্ছুক।”
১৯৯০ সালে স্থাপিত মঠটি বিক্রি থেকে প্রাপ্ত ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার একটি ফাউন্ডেশন দান করবেন তিনি। ইসরারা জানান, মঠ বিক্রি করে দিয়ে বনে গিয়ে ধর্মের চর্চা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
মঠাধ্যক্ষ বলেন, “এখান থেকে কিছু দূরে গৃহপালিত পশুর খাদ্য তৈরির কারখানাটি। সেখান থেকে আসা গন্ধ খুবই উৎকট। এখানের সন্যাসী ও শিক্ষানবিশদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে।”
মঠ এলাকায় সাইনপোস্টে লেখা হয়েছে, “পানির মূল্যে মঠ বিক্রি হবে। গৃহপালিত পশুর খাদ্য তৈরির কারখানা থেকে আসা গন্ধ অসহনীয়।”
কারখানার ব্যবস্থাপক সুপজ উরজিতসুরাকুল বলেন, “দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করতে তৃতীয় বারের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ওয়াট অর নইয়ের ভিক্ষুরা কারখানা পরিদর্শন করেছে। আমরা তাদের দেখিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমি মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি তার ভিক্ষুদের অন্যত্র পাঠাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।”
বিশ্বে অর্ধেক খাবার ফেলে দেওয়া হয়
বিশ্বে খাবারের অর্ধেক খাদ্য অপচয় হয়। আর এর অন্যতম কারণ খাদ্য ফেলে দেওয়া হয় । বিশ্বের দুইশ কোটি টন খাদ্য নষ্টের পেছনে ফেলে দেওয়া ছাড়াও নিম্নমানের সংরক্ষণ, বিক্রির মেয়াদ, একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি ও ভোক্তাদের খুঁতখুঁতে স্বভাব ইত্যাদি রয়েছে। যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
‘বৈশ্বিক খাদ্য; অপচয় হবে না, অভাব আসবে না’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ইনস্টিটিউশন জানিয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী চারশ কোটি টন খাদ্য উৎপাদিত হয়। আর এর ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ নষ্ট করা হয়। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রতে কেনা খাবারের অর্ধেক ফেলা দেওয়া হয়।
ইনস্টিটিউশনের গবেষক ড. টিম ফক্স বলেন, “অপচয়ের মাত্রা উদ্বেগজনক।” ইনস্টিটিউশন অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের শক্তিসম্পদ ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান ড. ফক্স বলেন, “বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় ও নষ্ট করা হয় তা উদ্বেগজনক। এ খাদ্য দিয়ে বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটানো যেত এবং আজকে যে হাহাকার চলছে তা থাকত না।”
খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণে ভূমি, পানি ও শক্তিসম্পদ অযথা নষ্ট করা হয় বলে উল্লেখ করেন ড. ফক্স। এই পরিস্থিতির জন্য নিম্নমানের কৃষি পদ্ধতি, পরিবহন সুবিধা এবং সংরক্ষণ অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করেন তিনি।
কখনও খাওয়া হয়না এমন শস্য উৎপাদনে বছরে ৫৫ হাজার কোটি কিউবিক মিটার পানির অপচয় হয়। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছরে খাদ্য উৎপাদনে পানির চাহিদা ১০ থেকে ১৩ লাখ কোটি কিউবিক মিটার প্রয়োজন হবে। জাতিসংঘের অনুমান, ২০৭৫ সালে অতিরিক্ত তিনশো কোটি মুখ যোগ হবে বর্তমান ভোক্তাদের সঙ্গে। ওই সময় পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে ৯ কোটি।
ফক্স বলেন, “এ অবস্থা বন্ধে কৃষক, খাদ্য উৎপাদক থেকে শুরু করে বিক্রেতা ও ভোক্তাদের মানসিকতা পরিবর্তনে সরকার, উন্নয়ন সংস্থা ও জাতিসংঘের মতো সংগঠনগুলোর একত্রে কাজ করা উচিত।”
‘বৈশ্বিক খাদ্য; অপচয় হবে না, অভাব আসবে না’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ইনস্টিটিউশন জানিয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী চারশ কোটি টন খাদ্য উৎপাদিত হয়। আর এর ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ নষ্ট করা হয়। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রতে কেনা খাবারের অর্ধেক ফেলা দেওয়া হয়।
ইনস্টিটিউশনের গবেষক ড. টিম ফক্স বলেন, “অপচয়ের মাত্রা উদ্বেগজনক।” ইনস্টিটিউশন অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের শক্তিসম্পদ ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান ড. ফক্স বলেন, “বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় ও নষ্ট করা হয় তা উদ্বেগজনক। এ খাদ্য দিয়ে বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটানো যেত এবং আজকে যে হাহাকার চলছে তা থাকত না।”
খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণে ভূমি, পানি ও শক্তিসম্পদ অযথা নষ্ট করা হয় বলে উল্লেখ করেন ড. ফক্স। এই পরিস্থিতির জন্য নিম্নমানের কৃষি পদ্ধতি, পরিবহন সুবিধা এবং সংরক্ষণ অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করেন তিনি।
কখনও খাওয়া হয়না এমন শস্য উৎপাদনে বছরে ৫৫ হাজার কোটি কিউবিক মিটার পানির অপচয় হয়। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছরে খাদ্য উৎপাদনে পানির চাহিদা ১০ থেকে ১৩ লাখ কোটি কিউবিক মিটার প্রয়োজন হবে। জাতিসংঘের অনুমান, ২০৭৫ সালে অতিরিক্ত তিনশো কোটি মুখ যোগ হবে বর্তমান ভোক্তাদের সঙ্গে। ওই সময় পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে ৯ কোটি।
ফক্স বলেন, “এ অবস্থা বন্ধে কৃষক, খাদ্য উৎপাদক থেকে শুরু করে বিক্রেতা ও ভোক্তাদের মানসিকতা পরিবর্তনে সরকার, উন্নয়ন সংস্থা ও জাতিসংঘের মতো সংগঠনগুলোর একত্রে কাজ করা উচিত।”
গেরিলা থেকে প্রেসিডেন্ট, অতঃপর…
জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে থাকেন। যে বেতন পান তার ৯০ শতাংশ দান করেন। টাইতো (গলা বন্ধনি ফিতা) দূরের কথা জাঁকজমক পোশাকও পরেন না।ফুলের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
পাঠক এই অনাড়ম্বর জীবন যেন তেন কোন ব্যক্তির নয়। তিনি একজন প্রেসিডেন্ট। কি চমকে উঠলেন নাকি! কোন গল্প নয়।
যেখানে আমাদের দেশের একজন মন্ত্রী কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন, বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন। কয়েক কিলোমিটার দূরত্বের অফিস যেতে রাস্তা ফাঁকা করেন, সঙ্গে থাকে ডজন সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এই বাস্তবতায় উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট হোসে মুহিকার জীবনযাপন গল্পই মনে হবে।
উরুগুয়ের শীর্ষ ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি একদিন ছিলেন গেরিলা যোদ্ধা-সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী।
রাজধানী মন্টিভিডিওর বাইরে জরাজীর্ণ বাড়িটিতে সিনেটর স্ত্রীসহ থাকেন তিনি। কোন পরিচারক-চারিকা নেই তাদের। নিজেরাই নিজের কাজ করেন। মাত্র দুজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে মুহিকার। সাদা পোশাকধারী এই দুই নিরাপত্তারক্ষীদের কখনও সঙ্গে নেন, আবার কখনও নেন না।
প্রেসিডেন্টের এই সাধারণ জীবন দেখে অনেকের চোখে ভেসে উঠতে পারে লাতিন আমেরিকার দেশটি বুঝি দরিদ্র। কিন্তু নয়। সুয়ারেস ই রিইয়েস নামে বিলাসবহুল প্রাসাদ রয়েছে প্রেসিডেন্টের জন্য। প্রেসিডেন্টের সেবা করার জন্য ৪২ জন কর্মীর একটি দলও রয়েছে প্রাসাদে। কিন্তু প্রাসাদ ছেড়ে নিজের বাড়িতে থাকছেন হোসে মুহিকা ও তার স্ত্রী লুসিয়া তোপোলানস্কি। বাড়ির সংলগ্ন এক খণ্ড জমিতে চন্দ্রমল্লিকার চাষ করেন এ দম্পতি। স্থানীয় বাজারে আবার বিক্রিও করেন ফুল।
২০১০ সালে যখন ক্ষমতা হাতে নেন তখন তার সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র এক হাজার ৮শ মার্কিন ডলার। পুরোনো মডেলের একটি গাড়ি না থাকলে সম্পদের পরিমাণ আরও অনেক কম হতো লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের প্রেসিডেন্টের। সরকারি কোষাগার থেকে যে বেতন পান তার ৯০ শতাংশ দান করেন যার বড় অংশ ব্যয় হয় গরীবদের মাথাগুজার ঠাই নির্মাণে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মাসিক বেতন ১২ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১০ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরিই মারিজুয়ানা ও সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। গর্ভপাত আইন করেও উরুগুয়েকে অঞ্চলের আলোচিত দেশে পরিণত করেন তিনি। বায়ু থেকে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি উৎসের ব্যবহার বৃদ্ধি করে অর্থনীতির চাকাকে সচল করেন কিউবার বিপ্লবে অনুপ্রাণিত সাবেক এ গেরিলাযোদ্ধা।
এক সময় অস্ত্র হাতে সরকার উৎখাতে নেতৃত্বদানকারী এ নেতার উদারতা উরুগুয়েকে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে উদার দেশের আসনে বসিয়েছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুহিকা বলেন, “প্রেসিডেন্ট পদকে কম প্রভাবশালী করতে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করেছি।”
মুহিকার এই দরিদ্র জীবনযাপন অনেকের কাছে খটকা লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু অর্থ-বৈভব-প্রার্চুয থাকলেই মানুষের চাহিদার অবসান ঘটে না। রোমান দার্শনিক সেনেসার উদ্ধৃতি দিয়ে মুহিকা বলেন, “ যার কম আছে যে গরিব নয়, যে যত চায় সেই গরিব।”
একজন বাগানচাষী হওয়ার আগে এই মুহিকা ছিলেন তুপামারোসের নেতা। কিউবার বিপ্লবে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৬০’র দশকে গঠিত তুপামারোস গেরিলা গোষ্ঠীতে যোগ দেন। রাজধানী মন্টিভিডিও রাস্তায় রাস্তায় ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও সহিংসতার মাধ্যমে (কু)খ্যাতি কুড়ায় তুপামারোস। তবে মুহিকা জানান, তারা হত্যা পরিহার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাত। ১৯৬৯ সালে মন্টিভিডিওর একটি শহরও দখলে নেয় তুপামারেস।
সরকারি বাহিনীর পাল্টা অভিযানের কাছে হার মানে মুহিকার গোষ্ঠী। ১৯৭২ সালে বন্দিত্ব বরণ করতে হয় তাকে। দীর্ঘ ১৪ বছরে কারাগারে থাকতে হয় তাকে। এক দশকেরও বেশি সময় থাকতে হয় থাকে নির্জন কারগারে, অধিকাংশ সময় তাকে রাখা হাতো মাটির নিচের কারাগারের মাটির নিচের কক্ষে। কারাগারে এমনও হয়েছে যে, এক বছরেরও বেশি সময় গোসল ছাড়াই কাটাতে হয়েছে তাকে। আর তার সঙ্গী ছিল ছোট ছোট ব্যাঙ ও ইঁদুর। অনেক সময় শুকনো রুটি ভাগাভাগি করে খেতেন সঙ্গীদের সঙ্গে।
কিন্তু দীর্ঘ কারাবন্দি জীবন সম্পর্কে খুব কম মুখ খুলেন মুহিকা। তিনি বলেন, “তার উপলব্ধি একজন সবসময় আবারও শুরু করতে পারে।”
১৯৭২ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগেও একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে সহযোগীদের সঙ্গে কারাগার থেকে পালাতে সক্ষম হন তিনি। ছয় ছয়বার পুলিশের গুলি বিঁধেছে তার শরীরে। ১৯৮৫ সালে সামরিক সরকারের পতন এবং গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসলে মুহিকাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর অন্যান্য বামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিলিতিভাবে মুহিকা ও তার তুপামারোস মুভমেন্ট অব পপুলার পার্টিসিপেশন (এমিপিপি) নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ১৯৯৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুহিকা ডেপুটি এবং ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে সিনেটর নির্বাচিত হন। মুহিকার ক্যারিশমার কারণে এমপিপির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
২০০৪ সাল নাগাদ জোট ব্রড ফ্রন্টের সবচেয়ে বড় শাখা হিসেবে গড়ে ওঠে এমপিপি। ২০০৪ সালের নির্বাচনে আবারও সিনেটর নির্বাচিত হন মুহিকা। ৩ লাখ ভোট পেয়ে তাবারে ভাসকেসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পেছনে বড় অবদান রাখে এমপিপি। ২০০৫ সালের ১ মার্চ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট তাবারে ভাসকেস মুহিকাকে গবাদিপশু, কৃষি ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। মুহিকার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে তাকে মন্ত্রী বানান ভাসকেস।
২০০৯ সালের নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে প্রতিপক্ষ লুইস আলবার্তো লাকালেকে পরাজিত করেন মুহিকা। মুহিকার ছোট বাড়িটিকে উপহাস করে ‘গুহা’ বলেছিলেন আলবার্তো লাকালে।
নিজের উত্তরসূরি তাবারে ভাসকেসও নিজের বাড়িতে থাকতেন-এটা বলতে ভুলেননি মুহিকা। বিশ শতকে উরুগুয়েকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠাকারী প্রেসিডেন্ট হোসে ব্যাটলি ই ওরদোনেস প্রেসিডেন্ট ও নাগরিকের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না এমন প্রথা চালু করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন মুহিকা।
লাতিন আমেরিকায় যখন অপরাধ ঘোড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তখন উরুগুয়ে নিজেকে অঞ্চলের সবচেয়ে নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলছে।
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরলেসের মতো নেতাদের নয়, ব্রাজিলের মধ্যমপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা ও চিলির সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচলেতকে আদর্শ মানেন মুহিকা। ইরান সম্পর্কে মুহিকার মন্তব্য “ইরানে যতই বেড়া দেবেন, তা ততই বিশ্বের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।”
পাঠক এই অনাড়ম্বর জীবন যেন তেন কোন ব্যক্তির নয়। তিনি একজন প্রেসিডেন্ট। কি চমকে উঠলেন নাকি! কোন গল্প নয়।
যেখানে আমাদের দেশের একজন মন্ত্রী কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন, বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন। কয়েক কিলোমিটার দূরত্বের অফিস যেতে রাস্তা ফাঁকা করেন, সঙ্গে থাকে ডজন সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এই বাস্তবতায় উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট হোসে মুহিকার জীবনযাপন গল্পই মনে হবে।
উরুগুয়ের শীর্ষ ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি একদিন ছিলেন গেরিলা যোদ্ধা-সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী।
রাজধানী মন্টিভিডিওর বাইরে জরাজীর্ণ বাড়িটিতে সিনেটর স্ত্রীসহ থাকেন তিনি। কোন পরিচারক-চারিকা নেই তাদের। নিজেরাই নিজের কাজ করেন। মাত্র দুজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে মুহিকার। সাদা পোশাকধারী এই দুই নিরাপত্তারক্ষীদের কখনও সঙ্গে নেন, আবার কখনও নেন না।
প্রেসিডেন্টের এই সাধারণ জীবন দেখে অনেকের চোখে ভেসে উঠতে পারে লাতিন আমেরিকার দেশটি বুঝি দরিদ্র। কিন্তু নয়। সুয়ারেস ই রিইয়েস নামে বিলাসবহুল প্রাসাদ রয়েছে প্রেসিডেন্টের জন্য। প্রেসিডেন্টের সেবা করার জন্য ৪২ জন কর্মীর একটি দলও রয়েছে প্রাসাদে। কিন্তু প্রাসাদ ছেড়ে নিজের বাড়িতে থাকছেন হোসে মুহিকা ও তার স্ত্রী লুসিয়া তোপোলানস্কি। বাড়ির সংলগ্ন এক খণ্ড জমিতে চন্দ্রমল্লিকার চাষ করেন এ দম্পতি। স্থানীয় বাজারে আবার বিক্রিও করেন ফুল।
২০১০ সালে যখন ক্ষমতা হাতে নেন তখন তার সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র এক হাজার ৮শ মার্কিন ডলার। পুরোনো মডেলের একটি গাড়ি না থাকলে সম্পদের পরিমাণ আরও অনেক কম হতো লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের প্রেসিডেন্টের। সরকারি কোষাগার থেকে যে বেতন পান তার ৯০ শতাংশ দান করেন যার বড় অংশ ব্যয় হয় গরীবদের মাথাগুজার ঠাই নির্মাণে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মাসিক বেতন ১২ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১০ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরিই মারিজুয়ানা ও সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। গর্ভপাত আইন করেও উরুগুয়েকে অঞ্চলের আলোচিত দেশে পরিণত করেন তিনি। বায়ু থেকে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি উৎসের ব্যবহার বৃদ্ধি করে অর্থনীতির চাকাকে সচল করেন কিউবার বিপ্লবে অনুপ্রাণিত সাবেক এ গেরিলাযোদ্ধা।
এক সময় অস্ত্র হাতে সরকার উৎখাতে নেতৃত্বদানকারী এ নেতার উদারতা উরুগুয়েকে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে উদার দেশের আসনে বসিয়েছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুহিকা বলেন, “প্রেসিডেন্ট পদকে কম প্রভাবশালী করতে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করেছি।”
মুহিকার এই দরিদ্র জীবনযাপন অনেকের কাছে খটকা লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু অর্থ-বৈভব-প্রার্চুয থাকলেই মানুষের চাহিদার অবসান ঘটে না। রোমান দার্শনিক সেনেসার উদ্ধৃতি দিয়ে মুহিকা বলেন, “ যার কম আছে যে গরিব নয়, যে যত চায় সেই গরিব।”
একজন বাগানচাষী হওয়ার আগে এই মুহিকা ছিলেন তুপামারোসের নেতা। কিউবার বিপ্লবে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৬০’র দশকে গঠিত তুপামারোস গেরিলা গোষ্ঠীতে যোগ দেন। রাজধানী মন্টিভিডিও রাস্তায় রাস্তায় ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও সহিংসতার মাধ্যমে (কু)খ্যাতি কুড়ায় তুপামারোস। তবে মুহিকা জানান, তারা হত্যা পরিহার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাত। ১৯৬৯ সালে মন্টিভিডিওর একটি শহরও দখলে নেয় তুপামারেস।
সরকারি বাহিনীর পাল্টা অভিযানের কাছে হার মানে মুহিকার গোষ্ঠী। ১৯৭২ সালে বন্দিত্ব বরণ করতে হয় তাকে। দীর্ঘ ১৪ বছরে কারাগারে থাকতে হয় তাকে। এক দশকেরও বেশি সময় থাকতে হয় থাকে নির্জন কারগারে, অধিকাংশ সময় তাকে রাখা হাতো মাটির নিচের কারাগারের মাটির নিচের কক্ষে। কারাগারে এমনও হয়েছে যে, এক বছরেরও বেশি সময় গোসল ছাড়াই কাটাতে হয়েছে তাকে। আর তার সঙ্গী ছিল ছোট ছোট ব্যাঙ ও ইঁদুর। অনেক সময় শুকনো রুটি ভাগাভাগি করে খেতেন সঙ্গীদের সঙ্গে।
কিন্তু দীর্ঘ কারাবন্দি জীবন সম্পর্কে খুব কম মুখ খুলেন মুহিকা। তিনি বলেন, “তার উপলব্ধি একজন সবসময় আবারও শুরু করতে পারে।”
১৯৭২ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগেও একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে সহযোগীদের সঙ্গে কারাগার থেকে পালাতে সক্ষম হন তিনি। ছয় ছয়বার পুলিশের গুলি বিঁধেছে তার শরীরে। ১৯৮৫ সালে সামরিক সরকারের পতন এবং গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসলে মুহিকাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর অন্যান্য বামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিলিতিভাবে মুহিকা ও তার তুপামারোস মুভমেন্ট অব পপুলার পার্টিসিপেশন (এমিপিপি) নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ১৯৯৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুহিকা ডেপুটি এবং ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে সিনেটর নির্বাচিত হন। মুহিকার ক্যারিশমার কারণে এমপিপির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
২০০৪ সাল নাগাদ জোট ব্রড ফ্রন্টের সবচেয়ে বড় শাখা হিসেবে গড়ে ওঠে এমপিপি। ২০০৪ সালের নির্বাচনে আবারও সিনেটর নির্বাচিত হন মুহিকা। ৩ লাখ ভোট পেয়ে তাবারে ভাসকেসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পেছনে বড় অবদান রাখে এমপিপি। ২০০৫ সালের ১ মার্চ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট তাবারে ভাসকেস মুহিকাকে গবাদিপশু, কৃষি ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। মুহিকার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে তাকে মন্ত্রী বানান ভাসকেস।
২০০৯ সালের নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে প্রতিপক্ষ লুইস আলবার্তো লাকালেকে পরাজিত করেন মুহিকা। মুহিকার ছোট বাড়িটিকে উপহাস করে ‘গুহা’ বলেছিলেন আলবার্তো লাকালে।
নিজের উত্তরসূরি তাবারে ভাসকেসও নিজের বাড়িতে থাকতেন-এটা বলতে ভুলেননি মুহিকা। বিশ শতকে উরুগুয়েকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠাকারী প্রেসিডেন্ট হোসে ব্যাটলি ই ওরদোনেস প্রেসিডেন্ট ও নাগরিকের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না এমন প্রথা চালু করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন মুহিকা।
লাতিন আমেরিকায় যখন অপরাধ ঘোড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তখন উরুগুয়ে নিজেকে অঞ্চলের সবচেয়ে নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলছে।
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরলেসের মতো নেতাদের নয়, ব্রাজিলের মধ্যমপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা ও চিলির সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচলেতকে আদর্শ মানেন মুহিকা। ইরান সম্পর্কে মুহিকার মন্তব্য “ইরানে যতই বেড়া দেবেন, তা ততই বিশ্বের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।”
কোরবানির চামড়া থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলোর আয় ৮০ কোটি রুপি
পাকিস্তানি চরমপন্থি গ্রুপ জামাত-উদ-দাওয়া এবং জেইশ-ই-মোহাম্মদ গত কোরবানির ঈদের পর দান হিসেবে পাওয়া পশুর চামড়া বিক্রি করে ৭৮০ মিলিয়নের বেশি পাকিস্তানি রুপি আয় করেছে। এ ধরনের নিষিদ্ধ সংগঠনের এভাবে কোরবানির চামড়া সংগ্রহের ওপর পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এ ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সম্প্রতি পাকিস্তানি মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এবার চামড়া বিক্রি করে ওই দু’টি জঙ্গী সংগঠন মোট ৭৮ কোটি ২১ লাখ ৫০০ রুপি আয় করেছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন আরো জানায়, সরকারের যেসব কর্মকর্তা চামড়া সংগ্রহে বাধা দিতে চেষ্টা করে তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠনগুলো। জামাত-উদ-দাওয়া ও এর সহযোগী সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন এবারের ঈদ-উল-আযহায় পাঞ্জাব থেকে ৯২ হাজার ৮০০ পশুর চামড়া সংগ্রহ করে। অপর দিকে জেইশ-ই-মোহাম্মদ ও এর সহযোগী সংগঠন আল-রেহমাত ট্রাস্টও একই প্রদেশ থেকে হাজার হাজার চামড়া সংগ্রহ করে।
চামড়া সংগ্রহকারী অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে সিপাহ-ই-সাহাবা পাকিস্তান, তেহরিক-ই-জাফারিয়া পাকিস্তান, শিয়া উলেমা কাউন্সিল, সুন্নী তেহরিক, হরকাত-উল-মুজাহিদীন ও আল-বদর মুজাহিদীন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব সরকার চামড়া সংগ্রহের কাজে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে বিরত রাখতে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের ব্যর্থতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, জঙ্গিরা যেন জনগণের কাছে কোরবানির চামড়া চেয়ে ব্যনার না টাঙ্গাতে পারে কিংবা চামড়া সংগ্রহে ক্যাম্প বসাতে না পারে। কিন্তু কার্যত দেখা যাচ্ছে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনা অবশ্য ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তানে সাধারণ্যে এবং পুলিশ ও প্রশাসনে জঙ্গি সমর্থন খুব একটা দুর্বল নয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যর্থতার কারণ দর্শাতে বলেছে ও পুলিশ ও প্রশাসনকে।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সম্প্রতি পাকিস্তানি মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এবার চামড়া বিক্রি করে ওই দু’টি জঙ্গী সংগঠন মোট ৭৮ কোটি ২১ লাখ ৫০০ রুপি আয় করেছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন আরো জানায়, সরকারের যেসব কর্মকর্তা চামড়া সংগ্রহে বাধা দিতে চেষ্টা করে তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠনগুলো। জামাত-উদ-দাওয়া ও এর সহযোগী সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন এবারের ঈদ-উল-আযহায় পাঞ্জাব থেকে ৯২ হাজার ৮০০ পশুর চামড়া সংগ্রহ করে। অপর দিকে জেইশ-ই-মোহাম্মদ ও এর সহযোগী সংগঠন আল-রেহমাত ট্রাস্টও একই প্রদেশ থেকে হাজার হাজার চামড়া সংগ্রহ করে।
চামড়া সংগ্রহকারী অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে সিপাহ-ই-সাহাবা পাকিস্তান, তেহরিক-ই-জাফারিয়া পাকিস্তান, শিয়া উলেমা কাউন্সিল, সুন্নী তেহরিক, হরকাত-উল-মুজাহিদীন ও আল-বদর মুজাহিদীন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব সরকার চামড়া সংগ্রহের কাজে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে বিরত রাখতে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের ব্যর্থতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, জঙ্গিরা যেন জনগণের কাছে কোরবানির চামড়া চেয়ে ব্যনার না টাঙ্গাতে পারে কিংবা চামড়া সংগ্রহে ক্যাম্প বসাতে না পারে। কিন্তু কার্যত দেখা যাচ্ছে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনা অবশ্য ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তানে সাধারণ্যে এবং পুলিশ ও প্রশাসনে জঙ্গি সমর্থন খুব একটা দুর্বল নয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যর্থতার কারণ দর্শাতে বলেছে ও পুলিশ ও প্রশাসনকে।
নতুন গন্ধ আবিষ্কার!
সম্পূর্ণ নতুন এক গন্ধ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, একে ‘সাদা’ গন্ধ নামে অভিহিত করছেন তারা।
সাদা রঙ যেমন বিভিন্ন আলোর মিশ্রণ, তেমনি এই গন্ধ বিভিন্ন গন্ধের মিশ্রণ। এজন্যই একে ‘অলফ্যাক্টরি হোয়াইট’ বা ‘সাদা অনুভূতির গন্ধ’ বলা হচ্ছে।
আমরা প্রতিদিন যে অসংখ্য গন্ধ নিয়ে থাকি, তার প্রায় সবই ভিন্ন ভিন্ন পদার্থের মিশ্র গন্ধ। তবে বিভিন্ন গন্ধের পার্থক্য বুঝতে পারলেও আমরা তার প্রত্যেকটি আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারি না। যেমন- গোলাপ ফুলের গন্ধ ও চায়ের গন্ধ আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়, কিন্তু চায়ের উপাদানগুলোর গন্ধ বুঝতে পারি না।
সাতটি ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের আলো একত্রিত হয়ে যেভাবে সাদা আলো তৈরি করে, তেমনি নিউরোলজিস্ট নোয়াম সোবেলের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল ৪৩ রকম গন্ধের মিশ্রণ ঘটিয়ে এই ‘সাদা’ গন্ধ তৈরি করেছেন।
তবে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। ৪৩ রকম গন্ধ মেশালে তো এমনিতেই বিশেষ কোনো গন্ধ তৈরি হয়, তাহলে গন্ধ ‘আবিষ্কার’ হলো কীভাবে?
বিজ্ঞানীরা এর উত্তরে বলছেন, গোলাপ ফুলের গন্ধ যেমন এক ও অনন্য, ‘সাদা’ও তাই। এটি মানুষের মস্তিষ্কে আনকোরা নতুন এক গন্ধের অনুভূতি তৈরি করে, যার সঙ্গে পৃথিবীর কোনো গন্ধের মিল নেই। আরও বিস্তারিত বললে, মানুষের মস্তিষ্কে প্রতিটি মৌলিক গন্ধ একেকটি পৃথক ‘ইউনিট’ হিসেবে কাজ করে। সাধারণত জন্মের পর কয়েক বছরের মধ্যেই মানুষ তার আশেপাশের মৌলিক গন্ধের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যায়। এই মৌলিক গন্ধগুলোর মিশ্রণ ঘটিয়ে যেকোনো গন্ধ শনাক্ত করতে শিখি আমরা। বিজ্ঞানীদের মতে, ‘সাদা’ এমনই একটি মৌলিক গন্ধ, যা এর আগে পৃথিবীবাসীর নাকে প্রবেশ করেনি! তাই আপনি কখনোই এর গন্ধকে অন্যকিছুর সঙ্গে তুলনা করে বলতে পারবেন না, “ঐ গন্ধের মতো”।
একদল স্বেচ্ছাসেবীকে এই নতুন গন্ধ উপভোগ করতে দেওয়া হলে তারাও এর সংজ্ঞা দিতে পারেননি। তবে কেউ কেউ এর অনুভূতি ‘মৃদু’ ও ‘কোমল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
সাদা রঙ যেমন বিভিন্ন আলোর মিশ্রণ, তেমনি এই গন্ধ বিভিন্ন গন্ধের মিশ্রণ। এজন্যই একে ‘অলফ্যাক্টরি হোয়াইট’ বা ‘সাদা অনুভূতির গন্ধ’ বলা হচ্ছে।
আমরা প্রতিদিন যে অসংখ্য গন্ধ নিয়ে থাকি, তার প্রায় সবই ভিন্ন ভিন্ন পদার্থের মিশ্র গন্ধ। তবে বিভিন্ন গন্ধের পার্থক্য বুঝতে পারলেও আমরা তার প্রত্যেকটি আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারি না। যেমন- গোলাপ ফুলের গন্ধ ও চায়ের গন্ধ আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়, কিন্তু চায়ের উপাদানগুলোর গন্ধ বুঝতে পারি না।
সাতটি ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের আলো একত্রিত হয়ে যেভাবে সাদা আলো তৈরি করে, তেমনি নিউরোলজিস্ট নোয়াম সোবেলের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল ৪৩ রকম গন্ধের মিশ্রণ ঘটিয়ে এই ‘সাদা’ গন্ধ তৈরি করেছেন।
তবে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। ৪৩ রকম গন্ধ মেশালে তো এমনিতেই বিশেষ কোনো গন্ধ তৈরি হয়, তাহলে গন্ধ ‘আবিষ্কার’ হলো কীভাবে?
বিজ্ঞানীরা এর উত্তরে বলছেন, গোলাপ ফুলের গন্ধ যেমন এক ও অনন্য, ‘সাদা’ও তাই। এটি মানুষের মস্তিষ্কে আনকোরা নতুন এক গন্ধের অনুভূতি তৈরি করে, যার সঙ্গে পৃথিবীর কোনো গন্ধের মিল নেই। আরও বিস্তারিত বললে, মানুষের মস্তিষ্কে প্রতিটি মৌলিক গন্ধ একেকটি পৃথক ‘ইউনিট’ হিসেবে কাজ করে। সাধারণত জন্মের পর কয়েক বছরের মধ্যেই মানুষ তার আশেপাশের মৌলিক গন্ধের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যায়। এই মৌলিক গন্ধগুলোর মিশ্রণ ঘটিয়ে যেকোনো গন্ধ শনাক্ত করতে শিখি আমরা। বিজ্ঞানীদের মতে, ‘সাদা’ এমনই একটি মৌলিক গন্ধ, যা এর আগে পৃথিবীবাসীর নাকে প্রবেশ করেনি! তাই আপনি কখনোই এর গন্ধকে অন্যকিছুর সঙ্গে তুলনা করে বলতে পারবেন না, “ঐ গন্ধের মতো”।
একদল স্বেচ্ছাসেবীকে এই নতুন গন্ধ উপভোগ করতে দেওয়া হলে তারাও এর সংজ্ঞা দিতে পারেননি। তবে কেউ কেউ এর অনুভূতি ‘মৃদু’ ও ‘কোমল’ বলে উল্লেখ করেছেন।